পড়া মুখস্থ রাখার টিপস….ডা. সাঈদ এনাম
বার্তালোক ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ৮:১৯ মিনিটডা. সাঈদ এনাম,এমবিবিএস (ডিএমসি), এম ফিল (সাইকিয়াট্রি), বিসিএস (হেলথ) সহকারী অধ্যাপক, সাইকিয়াট্রি; ইন্টারন্যাশনাল ফেলো, আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন
অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের অতি সাধারণ একটা সমস্যা নিয়ে প্রায়শই আসেন। তার বাচ্চা পড়া মুখস্থ রাখতে পারে না, পড়লে ভুলে যায়। পড়ায় সে যথেষ্ট সময় দেয়, তারপরও ভুলে যাচ্ছে।
পড়া মুখস্থ করে মনে রাখা, পুনরায় বলা, পরীক্ষার হলে গড় গড় বলে যাওয়া বা লিখে যাওয়া, এসব নির্ভর করে প্রধানতঃ পড়ার স্টাইলের ওপর।
পড়া মুখস্থ রাখার টিপস
১. প্রথম কথা হলো, যা পড়ছেন বা যা মুখস্থ করতে বসছেন, আপনাকে সেটা বুঝে বুঝে পড়তে হবে।
৬. মুখস্থ করার সময়ে অন্য কোন কাজ করা যাবে না। যেমন- মোবাইলে গেইম খেলা, কারো সাথে গল্প করা, চ্যাটিং করা ইত্যাদি। এতে মুখস্থ হবে না। হলেও মনে থাকবে না।
৭. মুখস্থ করার পর সেটা লেখার চেষ্টা করতে হবে। লেখায় ভুল সংশোধন করতে হবে এবং পুণরায় শুদ্ধ করে লিখতে হবে।
৮. যা মুখস্থ করা হয়েছে, সেই টপিকটাকে সেদিন বা অন্যান্য দিন বা কয়েকদিন পরপর মাঝেমধ্যে রিভিশন দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। রিভিশন বাধ্যতামূলক। রিভিশন না হলে পড়া মনে থাকবে না।
৯. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো- পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম। ঘুমের সময় মুখস্থ করা টপিক ব্রেইনের একটা জায়গায় (মেমোরি সেন্টারে) স্থায়ীভাবে স্থান করে নেয়। সুতরাং পর্যাপ্ত ঘুম হতেই হবে।
১০. পড়া মনে রাখার ক্ষেত্রে খাবারেরও একটা ভূমিকা আছে। প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন। আমাদের ব্রেইনের নিউরোট্রান্সমিটারগুলো প্রোটিনের তৈরি। বাহিরের ফাস্ট ফুড, চকোলেট, চিপস, ভিটামিন মিনারেল সাপ্লিমেন্ট সমৃদ্ধ গুড়া পাউডার না খাওয়া।
১১. অনেক বাচ্চা আছে, যারা দ্রুত মুখস্থ করতে পারে। আবার সেটা মনেও রাখতে পারে চমৎকার। এর মূল রহস্যই হলো- তারা উপরোক্ত পন্থাগুলো অনুসরণ করে চলে।
সুতরাং যারা খুব ভালো মনে রাখতে পারে, তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মুখস্থ রাখার টেকনিকগুলো শিখে নেবার তাগাদা দিতে হবে বাচ্চাকে। তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখতে উৎসাহ দিতে হবে। শিশুদের বেড়ে ওঠা ও শেখায় তার বন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।