কুলাউড়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ঝুঁকিতে মনু সেতু
বার্তালোক ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ মার্চ ২০২৫, ৯:৩০ মিনিট
জানা যায়, মনু নদীর বালুমহাল প্রতিবছর মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ইজারা দেওয়া হয়। এবিসি বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শরীফপুর ইউনিয়নে অবস্থিত মনু নদীর চাতলা মহালটি ইজারা নেয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইজারাদার সেতুর এক কিলোমিটারের মধ্যে সাত-আটটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। সেতুটি দীর্ঘদিন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সেতু থেকে এক কিলোমিটার দূর থেকে বালু উত্তোলনের নির্দেশনা দেন।
কিছুদিন সেই নির্দেশনা মানলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শরীফপুর ইউনিয়নের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগসাজশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করা হয়।
শরীফপুর ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা সুলেমান মিয়া, মনু মিয়া, আসদ আলীসহ একটি চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে সহযোগিতা করছেন। সেতু রক্ষায় গত কয়েকদিন আগে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রশাসনকে অবগত করে বালু তোলার মেশিন সেখান থেকে অপসারণ করার দাবি জানান। ওইসময় আওয়ামীলীগ নেতা সুলেমান মিয়ার নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ চক্রটি এলাকার মানুষদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এলাকার লোকজন একত্রে নদীতে নেমে বালু তোলার মেশিন নদী থেকে উচ্ছেদ করতে গেলে তাজুল মিয়া, নজরুল মিয়া, সুলেমান মিয়া গংরা প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
অথচ নীতিমালায় বলা হয়েছে, সেতুর উভয় পাশের এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বালু উত্তোলন করা যাবে না। কিন্তু ইজারাদাররা সেই শর্ত ভঙ্গ করে একের পর এক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে ঘাটে মজুদ করে রাখে। এমনকি অবাধে অতিরিক্ত ওজনের ট্রাক দিয়ে প্রতিদিন এই ঘাট থেকে বালু পরিবহন করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধসহ সড়ক বিভাগের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের ক্ষতি হচ্ছে।
এবিসি বিল্ডার্স ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনে বালু উত্তোলন করছি। এলাকার একটি পক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উপজেলা সহকারী (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, ‘এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর একাধিকবার সরেজমিনে পরিদর্শন করে বালু উত্তোলন না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। সেতু রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রতিবেদন পাঠানো হয় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড সরেজমিনে বালু উত্তোলন করলে সেতুর সমস্যা হবে কিনা সেটির সম্ভাবতা যাচাই করে প্রতিবেদন দিলে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে চাতলাপুর বালুমহালটি বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ৫ মার্চ জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ১৪৩২ সনে বালুমহাল ইজারার দরপত্র বিজ্ঞপ্তি আহবান করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তনুযায়ী সেতু রক্ষায় চাতলাপুর বালুমহাল ও কটারকোনা মৌজার মনু ব্রিজ সংলগ্ন দুটি দাগ বাদ দেয়া হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইজারাদার সেতুর এক কিলোমিটারের মধ্যে সাত-আটটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। সেতুটি দীর্ঘদিন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সেতু থেকে এক কিলোমিটার দূর থেকে বালু উত্তোলনের নির্দেশনা দেন।
কিছুদিন সেই নির্দেশনা মানলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শরীফপুর ইউনিয়নের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগসাজশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করা হয়।
শরীফপুর ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা সুলেমান মিয়া, মনু মিয়া, আসদ আলীসহ একটি চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে সহযোগিতা করছেন। সেতু রক্ষায় গত কয়েকদিন আগে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রশাসনকে অবগত করে বালু তোলার মেশিন সেখান থেকে অপসারণ করার দাবি জানান। ওইসময় আওয়ামীলীগ নেতা সুলেমান মিয়ার নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ চক্রটি এলাকার মানুষদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। এলাকার লোকজন একত্রে নদীতে নেমে বালু তোলার মেশিন নদী থেকে উচ্ছেদ করতে গেলে তাজুল মিয়া, নজরুল মিয়া, সুলেমান মিয়া গংরা প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
অথচ নীতিমালায় বলা হয়েছে, সেতুর উভয় পাশের এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বালু উত্তোলন করা যাবে না। কিন্তু ইজারাদাররা সেই শর্ত ভঙ্গ করে একের পর এক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে ঘাটে মজুদ করে রাখে। এমনকি অবাধে অতিরিক্ত ওজনের ট্রাক দিয়ে প্রতিদিন এই ঘাট থেকে বালু পরিবহন করে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধসহ সড়ক বিভাগের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের ক্ষতি হচ্ছে।
এবিসি বিল্ডার্স ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা নিয়ম মেনে বালু উত্তোলন করছি। এলাকার একটি পক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উপজেলা সহকারী (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, ‘এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর একাধিকবার সরেজমিনে পরিদর্শন করে বালু উত্তোলন না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। সেতু রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রতিবেদন পাঠানো হয় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড সরেজমিনে বালু উত্তোলন করলে সেতুর সমস্যা হবে কিনা সেটির সম্ভাবতা যাচাই করে প্রতিবেদন দিলে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে চাতলাপুর বালুমহালটি বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ৫ মার্চ জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ১৪৩২ সনে বালুমহাল ইজারার দরপত্র বিজ্ঞপ্তি আহবান করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তনুযায়ী সেতু রক্ষায় চাতলাপুর বালুমহাল ও কটারকোনা মৌজার মনু ব্রিজ সংলগ্ন দুটি দাগ বাদ দেয়া হয়েছে।