৫৪ বছরের ইতিহাসে এখনো গনতন্ত্রের মূল কাঠামোই শক্তিশালী করতে পারিনি- বিএনপি নেতা রিপন
বার্তালোক ডট কম
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুলাই ২০২৫, ৬:৪৯ মিনিট
তিনি বলেন,‘লন্ডন বৈঠকের পরে দেশ নির্বাচন মুখী হয়েছে। কিন্তু আমরা কি দেখতে পাচ্ছি, একটি চক্র একটি পক্ষ যারা নির্বাচন হলে এদেশের জনগণ তাদের ওপর আস্থা রাখবে না। এ দলগুলো বিভিন্ন কৌশল করে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাচ্ছে। অথচ এই দলটি বাংলাদেশের প্রতিটি আসনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এই যে দ্বি-চারিতা,দ্বিমুখি আচরণ যে দলকে বাংলাদেশের জনগন চেনে। ইসলামের লেবাস লাগিয়ে এদেশের জনগণকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না। জনগণ প্রস্তুত রয়েছে আগামী নির্বাচনের মাধ্যেমে তাদের পছন্দের সরকার গঠন করতে’।
আব্দুর রহিম রিপন আরো বলেন-‘এ দলটি নতুন করে টালবাহানা শুরু করেছে পি আর সিস্টেম। অথচ এদেশের মানুষ পি আর সিস্টেম কি সেটা বুঝে না। এই পি আর সিস্টেমের মূলা ঝুলিয়ে নির্বাচনকে ঠেকাতে চাচ্ছে। বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে এখনো গনতন্ত্রের মূল কাঠামোই শক্তিশালী করতে পারিনি। সেখানে নতুন করে পি আর সিস্টেম দেশেকে নতুন করে সংকটের দিকে ধাবিত করার চেষ্ঠা করা হচ্ছে। তিনি বলেন-‘যারা জাতীয় নির্বাচনকে প্রলম্বিত করতে চায় তাদের উদ্দেশ্য আর মতলব আমরা বুঝি। সেই পরাজিত শক্তি ৭১ এ যারা পরাজিত হয়েছিল সেই শক্তি বাংলাদেশকে এখন ২৪ দিয়ে বলে ২৪ নাকি গণঅভ্যুত্থান। সেটাই না কি বাংলাশের স্বাধীনতা দিবস। তিনি বলেন-‘৭১ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্টে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে এদেশে একটা মানচিত্র দিয়েছিলেন। আমরা আমাদের পাসপোর্ট আইডি পেয়েছিলাম। আমরা বাংলাদেশী, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি। আর ২০২৪ এ আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার মতো স্বৈরাচারের কবল থেকে আমরা নতুন করে মুক্ত হয়েছি। তাই ২৪ কে দিয়ে ৭১ কে কোনভাবেই খাটো করা যাবে না’। ‘বিএনপি এমনই একটি দল,যে দল ইতিবাচক রাজনীতি করে বাংলাদেশে নতুন দৃষ্টান্ত রেখেছে। বিএনপি শুধু দেশে গনতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনই করেনি নিজের দলেও গনতান্ত্রিক চর্চা করে। রিপন বলেন-এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। ১৪ তে,১৮ তে,২৪ এ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। গত ১৬-১৭ বছর মানুষ তার পছন্দের সরকার গঠন করতে পারেনি।
সম্মেলনের প্রথম পর্বে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রেদওয়ান খান। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও ভাটেরা ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক আব্দুল মুক্তাদির মুক্তারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট আবেদ রাজা, মুজিবুর রহমান মজনু, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি শওকতুল ইসলাম শকু, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রেদওয়ান খান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদরুল হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল জলিল জামাল, সদস্য শামীম আহমদ চৌধুরী, আজিজুর রহমান মনির, বদরুজ্জামান সজল, আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ডা. তারু খান, সুফিয়ান আহমদ, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুল মুক্তাদির মনু, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান ছালাম, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জুবের আহমদ খান, জেলা মহিলা দলের নেত্রী সুফিয়া রহমান ইতি প্রমুখ। এছাড়াও সম্মেলনে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
কাউন্সিল শেষে শেখ আজাদ মিয়া সিদ্দিকী ২৮৩ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুহিবুর রহমানের প্রাপ্ত ভোট ১৬২। সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ রনি হাসান সালাম ২৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আজমল হোসেন চুনু পান ১৮৮ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আকুল মিয়া ১৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জয়নাল মিয়া পান ১৬৭ ভোট, সোলেমান মিয়া সিদ্দিকী ৬৫ ভোট, মুহিবুর রহমান দলা ১৬ ভোট। #